ভূজপুরের মিরেরখীলে হত্যা মামলার আসামি হারুন গ্রেফতার নিজস্ব প্রতিনিধি, ভূজপুর, ২৮.০৬.২০১২
ভূজপুরে হত্যা মামলার পলাতক আসামি ডাকাত হারুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ডাকাত ফারুক প্রকাশ হারুন চাঞ্চল্যকর প্রবাসী মাহবুবুল আলম হত্যা মামলার পলাতক আসামি বলে জানা গেছে। সে পূর্ব ভূজপুর মিরের খীল গ্রামের হোসেন আহমদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দীন ভূঁইয়া ও এএসআই ফারুকের নেতৃত্বে মিরেরখীল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফটিকছড়ি মিরেরখীলের মাহবুব হত্যাকাণ্ড, তিন আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড, বাকি ১১ জন খালাস
আজাদী প্রতিবেদন, ২৩ জুলাই ২০১২ ॥ গভীর রাতে ফটিকছড়ির ভুজপুরে ঘর থেকে ডেকে একজনকে গুলি করে মারার ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত। গতকাল রোববার আদালতের বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একইসাথে তিন আসামিকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি হচ্ছেন আহমদ গনির ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ প্রকাশ বাইট্টা ইউনুছ, হোসেন আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক প্রকাশ হারুন ও স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলাইয়া। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। একই মামলার রায়ে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে বাকি ১১ জনকে। তারা হচ্ছেন, মোহাম্মদ ইউনুছ, নুরু,আবুল বশর, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ ইয়াকুব, কাশেম, শফি,ইলিয়াছ ও মোহাম্মদ শফি। আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১০ নভেম্বর সকালে পূর্ব ভুজপুর মীরেরখীল এলাকায় স্থানীয় মাহবুবুল আলমের ক্ষেতের ধান কেটে নিতে যায় আসামিরা। খবর পেয়ে মাহবুবুল আলম তাদেরকে বাধা দেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাঙ্গামা হয়। পরদিন অর্থাৎ ১১ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় আসামিরা মাহবুবুল আলমের বাড়িতে গিয়ে তাকে ঘর থেকে ডেকে বের করে। উঠোনে দাঁড়ানো অবস্থায় আসামিরা তাকে উপর্যুপরি গুলি করে। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়া মাহবুবুল আলম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ঘটনায় মাহবুবের ভগ্নিপতি শামসুল হক ১৩ নভেম্বর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে উল্লেখিত ১৪ আসামির বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের ১৩ মার্চ চার্জশিট প্রদান করে পুলিশ। এরপর ২০০৮ সালের ১১ আগষ্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জগঠনের মাধ্যমে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোহাম্মদ লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, তিন আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাদেরকে দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকী ১১ আসামিকে খালাস দিয়েছে বিচারক। এডভোকেট লোকমান আরো বলেন, মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত ও খালাস পাওয়া সবাই একই এলাকার।