একটি গ্রামের পরিচিতি
গ্রন্থনাঃ সৈয়দ নূর কামাল
চট্টগ্রাম জেলার নবগঠিত ভূজপুর থানার (সাবেক ফটিকছড়ি থানা) ভূজপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম মিরেরখীল। চারটি মহল্লায় বন্ঠিত নঢাইল্লা ডোবার পাড়ে সবুজ শ্যামল বৃক্ষছায়ায় ঘেরা। ওই ডোবাটির নয়টি ঢাল অর্থাৎ শাখা আছে তাই হয়তো এই নাম। চতুর্পার্শ্বে ধান ক্ষেত। নতুন ধানের বীজ লাগানোর ক’দিন পর পুরো গ্রাম হয়ে যায় যেনো তুলিতে আঁকা ল্যান্ডস্কেপ। ওপরে নীলিম আকাশ আর নিচে আদিগন্ত সবুজের সমারোহ।
গ্রামে যে ক’টি শিক্ষায়তন আছে তা হলো, গাছবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়,মিরেরখীল মিসবাহুল উলুম মাদ্রাসা এবং মিরেরখীল মহিলা মাদ্রাসা। বিদ্যালয় ছাড়া বাকি প্রতিষ্টান গুলি গড়ে উঠেছে গ্রামবাসীদের নিজেদের দানে আর প্রচেষ্টায়। মিরেরখীল জামে মসজিদ উত্তর ফটিকছড়ির পুরনো এবং বৃহত্তর মসজিদ গুলোর একটি। মিরেরপুকুর নামক একটি দীঘির পাড়ে তার অবস্থান। একশত ষাট শতাংশ জমি নিয়ে এই দীঘি। জানা যায় মীর মোহাম্মদ সানা নামক এক প্রসিদ্ধ ব্যাক্তি এই পুকুর খনন করেন। তবে ক্যাডেষ্টাল সার্ভে (সিএস জরিফ) এর খতিয়ানে মিরের পুকুরের মালিক দেখা যায় হাশমত মিয়া ও তদীয় তিন পুত্র। কাজীরা জমিদারী প্রাপ্ত হয়ে এই অঞ্চলে এলে এই পুকুর হয়তো তাদের মালিকানাতে চলে যায়। উল্লেখিত প্রতিটি প্রতিষ্টান গড়ার পেছনে যে মানুষটির পবিত্র উদ্যোগী হাত ছিলো, তিনি ছিলেন অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মাওলানা সুলতান আহমদ। তিনি ছিলেন আজীবন মসজিদের আর মক্তবের রক্ষক, সংস্কারক। তাঁরই প্রচেষ্টায় আর স্থানীয় চেয়ারম্যান রজি আহমদ চৌধুরীর সহযোগীতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হয়।
যতোটুকু জানা যায় মীর মোহাম্মদ সানার নামেই গ্রামের নাম মিরেরখীল হয়। গ্রামের ভূমি ব্যাবস্থার প্রাচীন দলিল পত্রে তার নাম পাওয়া যায়। মিরের পুকুর এবং মিরেরখীল নাম দু’টি তার স্মৃতি বহন করে। তার পুর্বে এটি গাছবাড়িয়া নামে পরিচিত ছিলো। গ্রামের পাশে গাছবাড়িয়া বিল এখনো স্বনামেই আছে, চট্টগ্রামী ভাষায় লোকে বলে গজাইজ্জা বিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম গাছবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়াটিও সেই কারনে।
বাংলা শাসনকর্তা সুবেদার শায়েস্তা খাঁর পুত্র বুজর্গ উমেদ আলী খাঁ ১৬৬৬ খৃঃ আরাকানীদের পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখল করেন এবং এর নামকরণ করা হয় ইসলামাবাদ। তখন দিল্লীর শাসনকর্তা ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেব। শাসনকার্যের সুবিধার্থে ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সমগ্র এলাকাকে ৭ টি পরগনায় ভাগ করে প্রত্যেকের একেকটি নামকরণ করা হয়। বাংলার বার ভূঁইয়ার এক ভূইয়া স্বাধীনতাকামী ঈসা খাঁ যখন উত্তর চট্টগ্রামে অবস্থান করেন তখন বাইশটি পুরের সমন্বয়ে স্বাধীন ইছাপুর পরগনার পত্তন করেন। ঐতিহাসিক সেই ইছাপুর পরগনাই বর্তমানের ফটিকছড়ি উপজেলা। ইছাপুর পরগনার অধীনে অনেকগুলো তরফ ছিলো। মিরেরখীল সহ পার্শ্ববর্তি কিছু এলাকার তরফদার ছিলেন এই মীর মোহাম্মদ সানা।
আঁকাবাঁকা রামগড় সড়ক চলে গেছে গ্রামের ঠিক মধ্যিখান দিয়ে। রামগড় সড়কের ওপরই ছোট্ট একটি বাজার। ফকির হাট নাম। কুড়ুইল্লা ফকির নামের এক ব্যাক্তির নামে এই নাম। বাজারের পাশেই এখনো যার কবর বিদ্যমান। কথিত আছে ওই ফকিরের মৃত্যুর অনেক বছর পরেও তাকে মাঝে মাঝে দেখা যেতো কাঁধে কুড়ুল নিয়ে বনে জঙ্গলে ঘুরছেন। কারো সাথে কদাচিৎ দেখা হয়ে গেলে নাকি বলতেন, আমাকে যে দেখেছো তা কাউকে বলোনা, নইলে নির্বংশ হবে। গ্রাম বাংলার অন্য সব গ্রামে প্রচলিত কাহিনির মতো একটি কাহিনিই হবে বৈকি। একসময় সাপ্তাহিক বাজার বসতো এই ফকিরহাটে। কাজির হাটের (পার্শ্ববর্তি জমিদার শাহাবুদ্দীন কাজী’র নামে নামকৃত এবং বর্তমানে নবগঠিত ভূজপুর থানার সদর) পরিচিতি তুলনামুলক বেড়ে গেলে ফকির হাটে সাপ্তাহিক বাজার বসা বন্ধ হয়ে যায়।
মিরেরখীল ভূজপুর থানার দক্ষিন সীমার সীমান্তবর্তি গ্রাম। গ্রামের পুর্ব-দক্ষিন পাশে পাইন্দং ইউনিয়নের ফকিরাচঙ্গ। উত্তর-পুর্ব পাশে আমতলী। ফকিরাচঙ্গ আর আমতলীর পুর্ব পাশে উত্তর থেকে দক্ষিনে চলে গেছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক ভাবে মৎস্য পোনার উৎস এবং চট্টগ্রাম জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী হালদা। দক্ষিন এবং পশ্চিম পাশে পুর্ব ভূজপুর গ্রামের বাকি অংশ। পুরো গ্রামের চারটি মহল্লায় জনবসতি হবে দুইশত পঞ্চাশ ঘরের মতো। মহল্লাগুলোর নাম যথাক্রমেঃ পুর্ব পাড়া, মধ্য পাড়া, কারিগর পাড়া এবং পশ্চিম পাড়া। শিক্ষায়তন গুলো, জামে মসজিদ এবং ফকিরহাটের অবস্থান মধ্যপাড়ায়।
মিরেরখীলের সম্পূর্ণ জনবসতি এখানকার আদি বাসিন্দা নন। লেখকের পুর্বপুরুষগণ ও অন্য অঞ্চল থেকে মিরেরখীলে এসেছিলেন। লেখকের প্রপিতামহ হাজী আছহাব উদ্দীন মিঞাজী আটারশ শতাব্দীর মাঝামাঝি হাটহাজারী উপজেলার চিপাতলী থেকে এসে এখানে বসত নির্মাণ করেন। মীর মোহাম্মদ সানার তরফে সামান্য ক’জন লোক বসবাস করতেন। পরবর্তিতে ১৭৯৩ খৃষ্টাব্দে লর্ড কর্ণওয়ালিস কর্তৃক চিরস্থায়ি বন্দোবস্ত ব্যাবস্থা চালু হলে জমিদার পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী এই এলাকার জমিদারি প্রাপ্ত হয়। পূর্ণচন্দ্র চৌধুরীর পিতা বৃন্দাবন পাল চৌধুরীর নামেই পাইন্দং ইউনিয়নের সদর বৃন্দাবন চৌধুরী হাটের নামকরন হয়। লেখকের পিতামহ হাজী আফিউদ্দীন মিঞাজী ১৯২২ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করলে এই জমিদার পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী লেখকের পিতামহী গুলফরাজ খাতুন এবং পিতা মাওলানা সুলতান আহমদকে ১৯২৪ ইংরেজী সনের ১৫ই সেপ্টেম্বর পাঁচ কানি আট গন্ডা জায়গা পাট্টামুলে লিখে দেন। অগ্রবর্তি জমিদার মীর মোহাম্মদ সানা এবং পরবর্তি পূর্ণচন্দ্র চৌধুরীর মহালে চট্টগ্রামের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আরো পঁচিশ ত্রিশটি পরিবার এসে বসত শুরু করেন। তারাই বর্তমান বাসিন্দাদের পূর্ব পুরুষ।
তৎপূর্বে এ অঞ্চলে কারা বাস করতেন তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হয় মগজাতিরাই সে সময়ের বাসিন্দা ছিলেন। এখানকার পুরনো লেখকদের রচনায় মগী সনের অত্যধিক ব্যাবহার তারই সাক্ষ্য দেয়। তৎকালীন আরেক প্রভাবশালী জমিদার কাজি শাহাবুদ্দীনের উত্তর পুরুষরা মিরেরখীলের পশ্চিম প্রান্ত সীমার পরেই বসবাস করেন। চিন ফগফূর শাহ কাব্যের রচিয়তা কাজি হাশমত মিয়া ছিলেন কাজি শাহাবুদ্দীনের নাতি।
গ্রামে যে ক’টি শিক্ষায়তন আছে তা হলো, গাছবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়,মিরেরখীল মিসবাহুল উলুম মাদ্রাসা এবং মিরেরখীল মহিলা মাদ্রাসা। বিদ্যালয় ছাড়া বাকি প্রতিষ্টান গুলি গড়ে উঠেছে গ্রামবাসীদের নিজেদের দানে আর প্রচেষ্টায়। মিরেরখীল জামে মসজিদ উত্তর ফটিকছড়ির পুরনো এবং বৃহত্তর মসজিদ গুলোর একটি। মিরেরপুকুর নামক একটি দীঘির পাড়ে তার অবস্থান। একশত ষাট শতাংশ জমি নিয়ে এই দীঘি। জানা যায় মীর মোহাম্মদ সানা নামক এক প্রসিদ্ধ ব্যাক্তি এই পুকুর খনন করেন। তবে ক্যাডেষ্টাল সার্ভে (সিএস জরিফ) এর খতিয়ানে মিরের পুকুরের মালিক দেখা যায় হাশমত মিয়া ও তদীয় তিন পুত্র। কাজীরা জমিদারী প্রাপ্ত হয়ে এই অঞ্চলে এলে এই পুকুর হয়তো তাদের মালিকানাতে চলে যায়। উল্লেখিত প্রতিটি প্রতিষ্টান গড়ার পেছনে যে মানুষটির পবিত্র উদ্যোগী হাত ছিলো, তিনি ছিলেন অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মাওলানা সুলতান আহমদ। তিনি ছিলেন আজীবন মসজিদের আর মক্তবের রক্ষক, সংস্কারক। তাঁরই প্রচেষ্টায় আর স্থানীয় চেয়ারম্যান রজি আহমদ চৌধুরীর সহযোগীতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হয়।
যতোটুকু জানা যায় মীর মোহাম্মদ সানার নামেই গ্রামের নাম মিরেরখীল হয়। গ্রামের ভূমি ব্যাবস্থার প্রাচীন দলিল পত্রে তার নাম পাওয়া যায়। মিরের পুকুর এবং মিরেরখীল নাম দু’টি তার স্মৃতি বহন করে। তার পুর্বে এটি গাছবাড়িয়া নামে পরিচিত ছিলো। গ্রামের পাশে গাছবাড়িয়া বিল এখনো স্বনামেই আছে, চট্টগ্রামী ভাষায় লোকে বলে গজাইজ্জা বিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম গাছবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়াটিও সেই কারনে।
বাংলা শাসনকর্তা সুবেদার শায়েস্তা খাঁর পুত্র বুজর্গ উমেদ আলী খাঁ ১৬৬৬ খৃঃ আরাকানীদের পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখল করেন এবং এর নামকরণ করা হয় ইসলামাবাদ। তখন দিল্লীর শাসনকর্তা ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেব। শাসনকার্যের সুবিধার্থে ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সমগ্র এলাকাকে ৭ টি পরগনায় ভাগ করে প্রত্যেকের একেকটি নামকরণ করা হয়। বাংলার বার ভূঁইয়ার এক ভূইয়া স্বাধীনতাকামী ঈসা খাঁ যখন উত্তর চট্টগ্রামে অবস্থান করেন তখন বাইশটি পুরের সমন্বয়ে স্বাধীন ইছাপুর পরগনার পত্তন করেন। ঐতিহাসিক সেই ইছাপুর পরগনাই বর্তমানের ফটিকছড়ি উপজেলা। ইছাপুর পরগনার অধীনে অনেকগুলো তরফ ছিলো। মিরেরখীল সহ পার্শ্ববর্তি কিছু এলাকার তরফদার ছিলেন এই মীর মোহাম্মদ সানা।
আঁকাবাঁকা রামগড় সড়ক চলে গেছে গ্রামের ঠিক মধ্যিখান দিয়ে। রামগড় সড়কের ওপরই ছোট্ট একটি বাজার। ফকির হাট নাম। কুড়ুইল্লা ফকির নামের এক ব্যাক্তির নামে এই নাম। বাজারের পাশেই এখনো যার কবর বিদ্যমান। কথিত আছে ওই ফকিরের মৃত্যুর অনেক বছর পরেও তাকে মাঝে মাঝে দেখা যেতো কাঁধে কুড়ুল নিয়ে বনে জঙ্গলে ঘুরছেন। কারো সাথে কদাচিৎ দেখা হয়ে গেলে নাকি বলতেন, আমাকে যে দেখেছো তা কাউকে বলোনা, নইলে নির্বংশ হবে। গ্রাম বাংলার অন্য সব গ্রামে প্রচলিত কাহিনির মতো একটি কাহিনিই হবে বৈকি। একসময় সাপ্তাহিক বাজার বসতো এই ফকিরহাটে। কাজির হাটের (পার্শ্ববর্তি জমিদার শাহাবুদ্দীন কাজী’র নামে নামকৃত এবং বর্তমানে নবগঠিত ভূজপুর থানার সদর) পরিচিতি তুলনামুলক বেড়ে গেলে ফকির হাটে সাপ্তাহিক বাজার বসা বন্ধ হয়ে যায়।
মিরেরখীল ভূজপুর থানার দক্ষিন সীমার সীমান্তবর্তি গ্রাম। গ্রামের পুর্ব-দক্ষিন পাশে পাইন্দং ইউনিয়নের ফকিরাচঙ্গ। উত্তর-পুর্ব পাশে আমতলী। ফকিরাচঙ্গ আর আমতলীর পুর্ব পাশে উত্তর থেকে দক্ষিনে চলে গেছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক ভাবে মৎস্য পোনার উৎস এবং চট্টগ্রাম জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী হালদা। দক্ষিন এবং পশ্চিম পাশে পুর্ব ভূজপুর গ্রামের বাকি অংশ। পুরো গ্রামের চারটি মহল্লায় জনবসতি হবে দুইশত পঞ্চাশ ঘরের মতো। মহল্লাগুলোর নাম যথাক্রমেঃ পুর্ব পাড়া, মধ্য পাড়া, কারিগর পাড়া এবং পশ্চিম পাড়া। শিক্ষায়তন গুলো, জামে মসজিদ এবং ফকিরহাটের অবস্থান মধ্যপাড়ায়।
মিরেরখীলের সম্পূর্ণ জনবসতি এখানকার আদি বাসিন্দা নন। লেখকের পুর্বপুরুষগণ ও অন্য অঞ্চল থেকে মিরেরখীলে এসেছিলেন। লেখকের প্রপিতামহ হাজী আছহাব উদ্দীন মিঞাজী আটারশ শতাব্দীর মাঝামাঝি হাটহাজারী উপজেলার চিপাতলী থেকে এসে এখানে বসত নির্মাণ করেন। মীর মোহাম্মদ সানার তরফে সামান্য ক’জন লোক বসবাস করতেন। পরবর্তিতে ১৭৯৩ খৃষ্টাব্দে লর্ড কর্ণওয়ালিস কর্তৃক চিরস্থায়ি বন্দোবস্ত ব্যাবস্থা চালু হলে জমিদার পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী এই এলাকার জমিদারি প্রাপ্ত হয়। পূর্ণচন্দ্র চৌধুরীর পিতা বৃন্দাবন পাল চৌধুরীর নামেই পাইন্দং ইউনিয়নের সদর বৃন্দাবন চৌধুরী হাটের নামকরন হয়। লেখকের পিতামহ হাজী আফিউদ্দীন মিঞাজী ১৯২২ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করলে এই জমিদার পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী লেখকের পিতামহী গুলফরাজ খাতুন এবং পিতা মাওলানা সুলতান আহমদকে ১৯২৪ ইংরেজী সনের ১৫ই সেপ্টেম্বর পাঁচ কানি আট গন্ডা জায়গা পাট্টামুলে লিখে দেন। অগ্রবর্তি জমিদার মীর মোহাম্মদ সানা এবং পরবর্তি পূর্ণচন্দ্র চৌধুরীর মহালে চট্টগ্রামের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আরো পঁচিশ ত্রিশটি পরিবার এসে বসত শুরু করেন। তারাই বর্তমান বাসিন্দাদের পূর্ব পুরুষ।
তৎপূর্বে এ অঞ্চলে কারা বাস করতেন তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হয় মগজাতিরাই সে সময়ের বাসিন্দা ছিলেন। এখানকার পুরনো লেখকদের রচনায় মগী সনের অত্যধিক ব্যাবহার তারই সাক্ষ্য দেয়। তৎকালীন আরেক প্রভাবশালী জমিদার কাজি শাহাবুদ্দীনের উত্তর পুরুষরা মিরেরখীলের পশ্চিম প্রান্ত সীমার পরেই বসবাস করেন। চিন ফগফূর শাহ কাব্যের রচিয়তা কাজি হাশমত মিয়া ছিলেন কাজি শাহাবুদ্দীনের নাতি।